স্বদেশ ডেস্ক:
প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করে বিদেশে পলাতক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি সৈয়দ আবেদ হাসান ও সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী। তারা পিকে হালদারের নির্দেশ অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করতেন। গতকাল রবিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা এসব স্বীকার করেন। আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে দায়েরকৃত ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনে গতকাল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
দুদক জানায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি সৈয়দ আবেদ হাসান ও সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে দায়েরকৃত ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার এজাহারের বলা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ভুয়া ও অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠান আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে জাল রেকর্ডপত্র প্রস্তুত করেন। এর পর তা সঠিক দেখিয়ে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানটির মালিককে ভুয়া ঋণ পেতে সহযোগিতা করেন প্রত্যক্ষভাবে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ মদদে আনান কেমিক্যাল লিমিটেড ঋণের নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকার আত্মসাৎ করে।
এর আগে গত ১৬ মার্চ সৈয়দ আবেদ হাসান ও রাফসান রিয়াদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে দুদক। গ্রেপ্তারের পর তাদের হাজির করে রিমান্ড আবেদন জানালে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কিন্তু করোনা মহামারীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। গতকাল রিমান্ডের প্রথম দিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদক জানায়, প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে আবেদ হাসান ও রাফসান রিয়াদ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, তারা পিকে হালদারের আস্থাভাজন হিসেবে কাজ করতেন। পিকে হালদার যেসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে নির্দেশ করেছেন তারা সেসব প্রতিষ্ঠানের মালিককে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন। কী প্রক্রিয়ায় ঋণ মঞ্জুর করেছেন জিজ্ঞাসাবাদকালে তার বিস্তারিতও তুলে ধরেন।